শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আ’লীগের একক প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ

বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী হতে ডজন প্রার্থী ঢাকায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। সংগ্রহ করেছে মনোনয়নপত্র।

২০১৪ সালের নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনটি আওয়ামী লীগ জোটগত কারণে জাতীয় পার্টিকে(জাপা) ছেড়ে দেয়। আবারও এই আসনটি জোটের শরিকরা ভাগ বসাতে চায়। এবার আলোচনায় এসেছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ। তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, চকরিয়া ও পেকুয়ায় জেপির কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। এরশাদের আমলে ১৯৮৬ ও ৮৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৯০ সালের পর থেকে তিনি ভোটের মাঠে নেই। এতে আ.লীগের নেতা-কর্মীরা তাকে সহজে মেনে নিবেন না।

২০১৮ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ৪৫ বছর পর জাফর আলম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত পাঁচ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখল, দলীয় নেতাদের নির্যাতন, চিংড়ি ঘের দখলসহ নানা অভিযোগ উঠে। দলের একটি বড় অংশ তাকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্যে তৎপর রয়েছে।

এক সময় বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনটি জেলার রাজনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে এখানে সালাহউদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন,বিএনপির দূর্গ ভাঙতে আবারও এ আসনে জোটের নয়, দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত।

১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সালের তিনটি নিবার্চনে এ আসনে জেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি মনোনয়ন পেয়ে নিবার্চন করে হেরে যান। তিনি এবারও মনোনয়ন চেয়েছেন। এ আসনে নতুন মূখ সাবেক জেলা জজ আমিনুল হক। তিনি বেশকিছুদিন ধরে মাঠে-ময়দানে কাজ করছেন। নৌকা চেয়ে তিনিও মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। মনোনয়নের দৌঁড়ে আমিনুল হকও বেশ আলোচনায় আছেন।

এ ছাড়া সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ.লীগ নেতা রেজাউল করিম, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, জেলা আ্ওয়ামী লীগ নেতা এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী,রাশেদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজীব দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,সব আসনেই একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছে।দলের মনোনয়ন বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবে সবাই তার পক্ষেই কাজ করবে। সবার আমলনামা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। তিনিই বিবেচনা করবেন।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION